মানুষের গোপন ও প্রকাশ্য দুশমন: পবিত্র কোরআনের আলোকে (Human's Hidden and Open Enemies: In the Light of the Holy Qur'an).
Creators
Description
পটভূমি
সৌদি আরবের জাতীয় পতাকায় লেখা রয়েছে,
لا اله إلا الله محمد رسول الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) এর অর্থ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই, মুহাম্মদ সা. তাঁর রাসুল) এবং সাথে রয়েছে তরবারির প্রতীক। একটি দেশ তার জাতীয় পতাকা নিজের মত করে রচিত করবে, সেখানে আমার কোন আলোচনা, সমালোচনা ও মন্তব্য নেই। কিন্ত যখন আমাকে শিখানো হলো, এটা হলো কালিমায়ে তাইয়েবা (মহা পবিত্র বাক্য)। ইসলামে প্রবেশের একমাত্র দরজা। প্রশ্ন আমার তখন-ই, আমি কোরআনের কোথাও لا اله إلا الله محمد رسول الله সম্পূর্ণ বাক্য পাই নাই, অর্থাৎ নেই। যদিও لا اله إلا الله মোট ৩৭ বার উল্লেখ রয়েছে। তরবারি (السيف) শব্দটিও পবিত্র কোরআনের কোথাও ব্যবহার করা হয় নাই। আমি নবী (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত এবং নবীদের সিলমোহর হিসাবে কোরআন যে ভাবে বলেছেন, সে ভাবেই মনে-প্রাণে বিশ্বাস ও স্বীকার করি। কারো ভিত্তিহীন ও আবেগ তাড়িত হয়ে গল্প, কল্পকাহিনী ও আল-কোরআনে প্রণীত সাক্ষ্য আইনের নীতিমালা ছাড়া প্রমাণিত কোন কথা ছাড়া, আর কারো কথা বিশ্বাস করি না। আমাকে তা বিশ্বাস করতে হবে, তার কোন যুক্তি, বিবেক, ও গবেষণা নেই।
সৌদি আরব তার জাতীয় পতাকায় محمد رسول الله একত্রিত করে তাদের শ্লোগান হলে কোন কথা ছিল না। পবিত্র কোরআন বহির্ভুত এই বাক্যটির পিছনে রয়েছে যে ভিত্তি, তা শুধু নিতান্ত দুর্বল-ই নয় বরং পবিত্র কোরআনের সাথে সম্পূর্ণ বিরোধী। কারণ যে দুটি ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ কোরআন বিরোধী। প্রথমত আদম (আঃ) যে দোয়া পড়েছেন তা মহান আল্লাহ আমাদের জন্য কোড করে দিয়েছেন [‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব’।][1] অর্থাৎ যে গল্প আদম(আঃ) নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দ্বিতীয়ত: মেরাজ সম্পর্কিত "পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।"[2] সীমানা আল্লাহ আমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়ার পরও, যারা সীমানা কমবেশি করবে, তার দায়ভার তাদের। অথচ সূরা নাজমের ১১-১৮ আয়াতের ব্যাখ্যা পিছনের ১-১০ প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে যা রচনা করেছেন, তা ইসলামের মূলভিত্তি সালাত (নামাজ) থেকেই পরিষ্কার বুঝা যায়, তা কতটুকু বানোয়াট।
মহান আল্লাহ পতাকায় উল্লেখিত বাক্যটি আমাদের ঈমান ও ইসলাম গ্রহণের জন্য তৈরি করে দেন নাই। বরং তিনি বলে দিলেন "তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের উপর ও যা নাযিল করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে নবীগণকে। আমরা তাদের কারো মধ্যে তারতম্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত’।[3] পুনরায় “বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের উপর, আর যা নাযিল হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর। আর যা দেয়া হয়েছে মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীকে তাদের রবের পক্ষ থেকে, আমরা তাদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না এবং আমরা তারই প্রতি আত্মসমর্পণকারী’।[4] অর্থাৎ আমাদের কোন ক্ষমতা নেই নবীগনদের মধ্যে তারতম্য/পার্থক্য করার। কোন ধরণের বিভ্রান্তি নেই নবী (সঃ) এর কথা আল্লাহ বলেছেন এভাবে, "আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা ইয়াকীন রাখে।"[5] অর্থাৎ পতাকার বাক্যটি আমাদের ঈমানের বাক্য হতে পারে না। তা অবশ্যই আল্লাহ আমাদের পবিত্র কোরআনে যেভাবে বলতে এবং রাখতে বলেছেন, সেই অনুসারেই হবে। কারো মনোমুগ্ধকর কথা[6], তা যত ভাল ও সুন্দর আমাদের মনে হয়, তা হতে পারে না ঈমানের পথ।
আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির সাথে সাথেই তৈরি হয়ে গেল তার প্রকাশ্য শত্রু[7] শয়তান। এই শয়তান সৃষ্টি হয়েছে বলেই কিয়ামত সংগঠিত হবে। তাই মানুষ ও শয়তান সৃষ্টি থেকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত মহান আল্লাহ আমাদের তার সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়গুলি খুব খোলামেলা ও পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরেছেন, যেন আমরা সতর্কতা লাভ করতে পারি। যদিও বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় পবিত্র কোরআনে বর্ণিত শয়তান অনেকটাই হাস্যকর একটি বিষয় হিসাবে বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মনে করেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, শয়তান সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যে অনুভূতি জন্মেছে, তা হচ্ছে অন্ধকার যেমন মানসিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন রূপকথার গল্প, এমনকি বিনোদনের মাধ্যমও এই ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব বিস্তার করে দিয়েছে। তাই প্রকৃত শয়তান সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
এই সেই ইবলীস আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) এর সাথে অহংকার করে, আল্লাহ থেকে বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে মানুষকে আল্লাহর সরল পথ থেকে সরিয়ে জাহান্নামের অধিবাসীর করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু হিসাবে সহ অবস্থান করছে। তার সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন ও সাবধান হতে না পারলে, আমাদের চূড়ান্ত ফলাফল জাহান্নামই নির্ধারিত হয়ে যাবে। কোথায় পাব সেই জ্ঞান? একমাত্র পবিত্র কোরআন ছাড়া অন্য কাছ থেকে নিতে গিয়ে আমরা হব চূড়ান্ত বিভ্রান্ত। এই বইটির আমি লেখক নই, আমি শুধুমাত্র পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলি তুলে ধরেছি, তিনটি বাংলা ও একটি ইংলিশ অনুবাদ নিয়ে যেন আমরা ভালভাবে শয়তান সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে, তাকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে পারি। পবিত্র কোরআনকে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার তাগিদ মহান আল্লাহ এই মহান গ্রন্থের একশত (১০০) আয়াতেরও বেশি যায়গায় বলেছেন। তাই আমাদের এই প্রকাশ্য শত্রু সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই মনোযোগ ও সতর্কতার সাথে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভেবে দেখতে হবে। আমি নিজে মানুষ শয়তান হয়ে গেলাম কি না? অথবা শয়তানের ইবাদত করছি কি না? শয়তানকে অভিভাবক, বন্ধু, সাথী, সহযোগী ইত্যাদি বিশেষণে সম্পৃক্ত হয়ে গেলাম কি না?
পবিত্র কোরআনের মোট নব্বই (৯০)-টি আয়াতে সরাসরি এই জাত সম্পর্কে বুঝাতে আমাদের সামনে ১৬১ বার উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে ইবলীস (প্রথম শয়তান, যে জিন জাতি) হিসাবে তিন (৩) বার, খান্নাস (আত্মগোপনকারী) এক (১) বার, এক বচনে শয়তান বাষট্টি (৬২) বার, এক বচনে শয়তানকে সর্বনামে (আমি, তোমার, সে, তার, তাকে ইত্যাদি) পঞ্চাশ (৫০) বার, বহুবচনে স্বনামে শয়তানরা (শয়তানদের) এগারো (১১) বার, বহুবচনে সর্বনামে (এদের, তার বংশকে, তারা, তার দল বল, তার বন্ধুদের, তার সহচরবৃন্দ ইত্যাদি) রয়েছে ত্রিশ (৩০) বার, অন্যান্য নামে যেমন তাগূত হিসাবে তিন (৩) বার এবং জিবত এক (১) বার রয়েছে। এখানে উল্লেখ যে ইবলীস, খান্নাস, শয়তান, শয়তানরা, তাগূত এবং জিবত এর সংখ্যার বিভ্রান্তি না থাকলেও সর্বনামের ক্ষেত্রে সংখ্যাগুলি পরিবর্তন হতে পারে, বিশেষ করে ভাষাগত অনুবাদের কারণে।
যদিও এই নব্বইটি আয়াতের ১৬১টি বারের শয়তানই একমাত্র শয়তান নয়। পবিত্র কোরআনের অন্যান্য আয়াতের মধ্যে রয়েছে অজশ্র শয়তান। শুধুমাত্র এই আয়াতগুলি বিশ্লেষণ করে যে ৯৪টি চলক সমূহ (variables) তুলে ধরেছি, তা আমাদের আগামী দিনের চিন্তা ও গবেষণার সহযোগিতা করবে বলে বিশ্বাস করি। এর এক একটি চলকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে আরো অনেক আয়াত, যেখানে সরাসরি শয়তান হিসাবে উল্লেখ না থাকলেও, আমাকে এই চলকের মাধ্যমেই বুঝিয়ে ও চিনিয়ে দিচ্ছে আসল শয়তানের রূপ। যেমন শয়তান কুফরি করার নির্দেশ দেয়[8], তাই যারা কুফরী কাজ করে তারা শয়তানেরই অনুসারী। এই নিয়ে আমার মত সাধারণ মানুষেরও কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কুফরী কাজ কি? অজশ্র আয়াত রয়েছে কুফরী কাজ সম্পর্কে, যেমন ধরুন ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই কাফির।[9]। এই আয়াতের পরেই ৪৫ আয়াতে রয়েছে ‘তারা যালেম’ (فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ) এবং ৪৭ আয়াতে রয়েছে, ‘তারা ফাসেক’ (فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ)। একই অপরাধের তিন রকম পরিণতি : কাফের, যালেম ও ফাসেক। অর্থাৎ তারা আল্লাহর বিধানকে অমান্য করে এবং শয়তানের নির্দেশ মানে। তাই আমাদের অবশ্যই জানতে হবে ছোটখাট থেকে বড় ধরণের বিচার ফায়সালায় আল্লাহর বিধান কি? এই ক্ষেত্রে আমরা কোন ভাবেই শুধুমাত্র পেশাগত ব্যক্তিগণের উপর দোষ চাপিয়ে নিজের দায়িত্ত্ব থেকে সরে যেতে পারবো না।
আবার ধরুন শয়তানের আহার[10] এই চলকটির এখানে শয়তানসহ উল্লেখ করলেও, এ ছাড়া বাকি সকল আহার আমাদের জন্য হালাল হয়ে যাবে না। আল্লাহ এই সকল আয়াতে আমাদের শয়তান সম্পর্কে একটি পরিষ্কার জ্ঞান দিয়েছেন, যেন আমারা তার যাবতীয় কৌশল ও অভিসন্ধি বুঝতে পারি। হারাম ভক্ষণে ছুটোছুটি[11] বুঝতে হলে খুব সহজেই বুঝতে পারি যে, আল্লাহ নিষিদ্ধ কোন খাবার আমরা খেতে পারবো না। যদি একে খাবারের ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন বলি, তাহলে সূরা আল-মায়েদার তিন (৩) আয়াতে যে লিষ্ট এবং আরো যে সকল যায়গায় হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তা ভক্ষণ করার নির্দেশ ও পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য উভয় শয়তানতো তার সমস্ত কৌশল অবলম্বন অবশ্যই করবে। অর্থাৎ এই হারাম খাবার গুলি খাওয়ার জন্য শয়তানের একাধিক চলক মুমিনদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে যেমন কুমন্ত্রণা[12], প্রতারণা[13], মনোমুগ্ধকর কথা[14], ধোকাপূর্ণ কথা[15], ঈমানদার পরিচয়[16] ইত্যাদির সংমিশ্রনে।
আমরা জানি যে, পবিত্র আল-কোরআন হচ্ছে আরবী ভাষায় রচিত। যার কতিপয় আয়াত (মুহকাম) মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক, এগুলো হল কিতাবের মূল আর অন্যগুলো (মুতাশাবিহ) পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, "অথচ আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না"[17]। কিন্তু সেই সকল আয়াতের ব্যাখ্যা মানুষের দিতেই হবে। এই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আমাদের সামনে সত্যিকার ঈমানদার পরিচয়[18], সত্যিকারের হিতাকাঙ্ক্ষী রূপে[19], শয়তানের ইবাদাত[20] হিসাবে অর্থাৎ কোরআনকে আংশিক অনুসরণের পথ দেখায়[21], যা একমাত্র শয়তানের পদাংঙ্ক। এই ২০২২ সাল পর্যন্ত ইসলামের নামেই প্রায় ষাট (৬০,০০০) হাজারের অধিক প্রন্থ রচনা রয়েছে এবং চলছে মাল্টিন্যাশনাল প্রেসে নতুন নতুন প্রকাশনা ও দিন রাত প্রচার প্রচারণা। এমনকি কি শয়তান ভুয়া নবী ও রাসূল হিসাবেও ইতিমধ্যে আমাদের সামনে অনেক ব্যক্তিকে, অনেক গোষ্ঠীর সামনে প্রতিষ্ঠিত করেও দিয়েছেন। তারা কিন্তু ইসলামের নামেই বলে যাচ্ছেন এবং পালন করছেন। কিছু কিছু ব্যক্তির মর্যাদা আল্লাহ প্রেরিত নবী ও রাসূলগণের চেয়েও বেশি বানিয়ে নিয়েছেন ।
"আর জীবিত ও মৃতও সমান নয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন শোনান; যারা ক্ববরে আছে তুমি তাদেরকে শোনাতে পার না।"[22] আল্লাহর দেয়া এই সহজ বাক্যটি নিয়ে হাজারো বিভ্রান্তি করে ইতিমধ্যে অনেক মহা মহা গ্রন্থ রচিত হয়ে হয়েছে এবং চলছে । কবরগুলির আলোকসজ্জা দিন দিন বেড়েই চলছে। কারো কারো দাবি তারা শুধু শোনেন-ই না, তাদের সাথে কথাও বলেন, দুনিয়ার জীবনে ঘটে যাওয়া, বলে যাওয়া, করে যাওয়া সকল কথা শুনিয়ে দেন এবং এমনকি ধর্মীয় বিধান বলে দেন। অথচ এই "তুমি" সর্বনাম নবী (স) ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তিনি পারেন নাই কথা শুনাতে, তেমনি "তুমি" সর্বনাম আমার ক্ষেত্রেও নিঃসন্দেহে শতভাগ সত্য, তাই আমি পারি না, পারবোও না। একমাত্র শয়তান-ই পারবে শোনাতে এবং শুনতে, সাথে সাথে গভীর ষড়যন্ত্র করে[23] জাহান্নামের সাথী হওয়ার আমন্ত্রণ[24] জানিয়ে, কিয়ামতের দিন নিজের দোষ অস্বীকার[25] করে, আমার নিজের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে[26], জাহান্নামের চারপাশে নতজানু অবস্থায়[27] থাকবে। আর আমার জন্য আল্লাহ লিখে দিয়েছেন ‘হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের ব্যবধান থাকত’ সুতরাং কতইনা নিকৃষ্ট সে সঙ্গী![28]
মহান আল্লাহ আমাদেরকে স্পষ্ট করে দিলেন শয়তান দুই প্রকার এবং তারা হচ্ছে মানুষ ও জিন[29]। জিন জাতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের জন্য অদৃশ্যমান, এমনকি এদের সম্পর্কে আমরা ঠিক ততটুকুই জানি যা আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি জানতে গিয়ে হয়ত আমরা মানুষ শয়তানের সুন্দর সুন্দর লেখাতে বিশ্বাসী হয়ে দিন শেষে তাদের অনুসারী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এই ৯৪টি চলকের দিকে তাকালে আমরা প্রায় সবগুলি চলক মানুষ শয়তানের মধ্যেই দেখতে পাব।
দেখুন পবিত্র কোরআন আমাদের নারীদের কি জানিয়ে দিল "আর স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন ও পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন তোমাকে বিশ্বজগতের নারীদের উপর’। হে মারইয়াম, তোমার রবের জন্য অনুগত হও। আর সিজদা কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর’।[30] অথচ প্রচলিত শয়তানি রচনাগুলি কি ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মারইয়াম (আঃ) এর পরিবর্তে অন্য নামের মহিলাগণকে নিয়ে আসেন নাই, যাদের নামের অস্তিত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরেও নেই। পবিত্র কোরআন আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন মারইয়াম (আঃ) একাধিক বার ওহী এসেছে এবং বিশ্বজগতের নারীদের জন্য অনুকরণীয় করে দিয়েছেন সিজদা এবং রুকূ করার বিধান সহ।
নবী ও রাসূলগণের পিতা-মাতা, স্ত্রী-কন্যা ও পরিবার সম্পর্কে আল্লাহ আমাদের যেটুকু জানিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি জানার উৎস হিসাবে কখনও শয়তানের কাল্পনিক রচনাকে প্রাধান্য দেয়ার বিধান আল্লাহ দেন নাই। তাই তিনি আমাদের জানিয়ে দিলেন "যারা কুফরি করে তাদের জন্য আল্লাহ নূহের স্ত্রীর ও লূতের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন; তারা আমার বান্দাদের মধ্য হতে দু’জন সৎবান্দার অধীনে ছিল, কিন্তু তারা উভয়ে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, অতঃপর আল্লাহর আযাব হতে রক্ষায় নূহ ও লূত তাদের কোন কাজে আসেনি। বলা হল, ‘তোমরা উভয়ে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ কর।‘[31] আমাদেরকে এই কথাও জানিয়ে দিলেন "হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ? আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"[32] এখানে মূল কথা হচ্ছে যে সকল নাম আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়ে দেন নাই। বরং সতর্ক হিসাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন । তা আমারদের কাছে যে উৎস থেকেই আসুক না কেন, জানার জন্য জেনে নিতে পারি, কিন্ত বিশ্বাস করার অবকাশ নেই।
আমরা যদি পবিত্র কোরআনের সাক্ষ্য আইনের কিছু বিধান দেখি "তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরস্পর ঋণের লেন-দেন করবে, তখন তা লিখে রাখবে। ............আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ। অতঃপর যদি তারা উভয়ে পুরুষ না হয়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী- যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর। যাতে তাদের (নারীদের) একজন ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয়।“[33] এতিমদের ক্ষেত্রে "নিকট সোপর্দ করবে তখন তাদের উপর তোমরা সাক্ষী রাখবে।"[34] আবার "আর তোমাদের নারীদের মধ্য থেকে যারা ব্যভিচার করে, তোমরা তাদের উপর তোমাদের মধ্য থেকে চার জন সাক্ষী উপস্থিত কর।"[35] তাছাড়াও "ওসিয়তকালে তোমাদের মাঝে তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি সাক্ষী হবে:,[36] আবার সাক্ষী উপস্থিত না করতে পারলে শাস্তির বিধান দেয়া হয়েছে, "আর যারা সচ্চরিত্র নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে আসে না, তবে তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত কর এবং তোমরা কখনই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করো না। আর এরাই হলো ফাসিক।"[37] অতএব আমরা ধর্মের নামে যে সকল কথাগুলি শুনে আসছি, তা কি কোন ভাবে এই ধরণের সাক্ষী ও প্রমানের মাধ্যমে বলে থাকে?
এমনকি স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে আল্লাহ আমাদের জন্য কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন "আর যারা নিজদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ছাড়া তাদের আর কোন সাক্ষী নেই, তাহলে তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য হবে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে নিশ্চয়ই সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, সে যদি মিথ্যাবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর লা’নত। আর তারা স্ত্রীলোকটি থেকে শাস্তি রহিত করবে, যদি সে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয় তার স্বামী মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর গযব।“[38] আল্লাহ সাক্ষ্য আইনের দেওয়ানি ও ফৌজদারি নীতিমালাগুলি দিয়ে রেখেছেন আর আমাদের পবিত্র কোরআন নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করতে বলেছেন অনেক বার। আমাদের মনে প্রাণে নবী (সঃ), তার পরিবার, জীবন প্রণালী, আদেশ, নির্দেশ এমন কি অন্যান্য নবী ও রাসূল সম্পর্কে যে সকল কল্প কাহিনী শিখে, শুনে, বলে এবং পালন করে আসছি, তা কি আল্লাহর দেয়া সাক্ষ্য আইনে গ্রহনযোগ্য? দেখুন উপরের বিচারটি দুনিয়ার আদালতে খারিজ হয়ে চূড়ান্ত বিচার দিনের অপেক্ষায় রইল। এই ধরণের ঘটনায় দুটি সত্য বা দুটি মিথ্যা হতে পারে না। একজন কিন্তু আল্লাহর কসম করেও মিথ্যা বলতে পারে।
মহান আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন "বল, ‘তোমাদের সাক্ষীদেরকে নিয়ে আস, যারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ এটি হারাম করেছেন’।অতএব যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিয়ো না।“[39] এই ধরণের রটনা ও ঘটনা ঘটবে বলেই আল্লাহ বলেছেন "যারা আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রটনা করে, তাদের চেয়ে অধিক যালিম কে? তাদেরকে তাদের রবের সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সাক্ষীগণ বলবে, ‘এরাই তাদের রবের ব্যাপারে মিথ্যারোপ করেছিল’। সাবধান, যালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত।"[40] আমরা যে সকল রূপকথার গল্প ও কাহিনীকে নিজের জ্ঞান, ধর্ম ও কর্ম ইত্যাদি হিসাবে মেনে নিচ্ছি, তা কি কখনও আল্লাহর প্রদত্ত সাক্ষ্য আইনের মাপকাঠিতে মেপে দেখেছি? যেহেতু ভুয়া নবী ও রাসূল এই সকল কিতাবীরাই সৃষ্টি করেছে। তাই কাউকে নবী ও রাসূল হিসাবে মনের মধ্যে গেথে নিতে হলে, যে সকল প্রকার কথা ও প্রচারণা আমাদের মনের মধ্যে নিজের অজান্তেই সংরক্ষণ করে দেয়া হয়েছে, তা মুছে নিয়েই পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন করা জরুরি। সেই সকল শয়তান থেকে আল্লাহ বলেছেন "আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা কখনো তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।"[41]
পবিত্র কোরআনে একমাত্র নারী মারইয়াম (আঃ) ছাড়া আর কোন নারীর নামই নেই। পবিত্র কোরআনে মারইয়াম (আঃ) এর নামে সূরাঃ ১৯, মারইয়াম-ও রয়েছে। যাকে তামাম দুনিয়ার নারীদের জন্য অনুসরণীয় করেছেন। বাকি যে সকল নারীগণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা কিন্তু অন্য পুরুষের পরিচয়ে, যেমন নবীগণের মা, বোন এবং স্ত্রী, এমনকি জাহান্নামী পুরুষদের নামের সাথেও ভাল ও মন্দ উভয়ভাবেই এসেছে। অথচ আমরা আদম (আঃ) স্ত্রী "হাওয়া" সহ প্রায় সকলের নাম এবং তার সাথে যে সকল গল্প ও কাহিনী পেলাম তার সঠিক উৎস রয়েছে কি? প্রকৃত অর্থে আমাদের সেই নামগুলি কি জানার কোন প্রয়োজন রয়েছে? আল্লাহ বা কোন নবী ও রাসূল কি আমাদের সেই নাম গুলি জানতে বলেছেন বা জানিয়েছেন? এমন অনেক নামের পিছনে শয়তানের যে কৌশল, তা হচ্ছে দুনিয়ার সকল নারীদের মারইয়াম (আঃ) নীতি ও আদর্শ থেকে সরিয়ে নারীদের অন্যের দাস-দাসী-রক্ষিতা তৈরি করা। বিপরীত দিকে একজন ঈমানদার পুরুষ যদি মারইয়াম (আঃ) এর জীবন, নীতি ও আদর্শ সম্পর্কে কোরআনের জ্ঞান থাকে, তবে সে কোনদিনই কোন নারীকে অসম্মানের দৃষ্টিতে ভাবতেই পারবে না। প্রকৃতঅর্থে এই পৃথিবীতে একমাত্র মারইয়াম (আঃ) এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন নারী ছিল না, বা আছে এবং হবে সেই সম্ভাবনার দ্বার আল্লাহ বন্ধ করে দিয়েছেন।
পরিশেষে, নিচে যে চলকগুলি তুলে ধরা হয়েছে, তা সহায়তা করবে যে কোন গবেষণার ক্ষেত্রে। তা হতে পারে গুনগত, মানগত এবং সংমিশ্রণ পদ্ধতি ক্ষেত্রে। এই চলকগুলির ভিত্তি একমাত্র পবিত্র কোরআন , তাই সূরা নং ও আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষণা থেমে থাকে না বলেই, এই চলকগুলিকে হয়ত আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করা যেতে পারে। যেখানে এই সংখ্যার পরিবর্তন হতেই পারে। এই চলকগুলিতে মানুষ ও জিন উভয় প্রকার শয়তান রয়েছে। এদের সত্যিকার ভাবে আলাদা করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার। সঠিক ঈমানের প্রয়োজনের তাগিদেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলি নির্ধারণ করতে হলে, এই সকল চলকগুলি মনের মধ্যে গেথে রাখতে হবে। তা না হলে সুন্দর কভার ও আরবি-ইংরেজি-বাংলা লেখা বইগুলি আমাদের সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত করবে। এই চলকগুলি সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবেই আমাদের ঈমানের শুরু থেকে নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত সহ সকল ইবাদত ও কর্মের ক্ষেত্রে শয়তানকেই অনুসরণ করে চলছি। তাই, এত কাল ধরে যা শুনে আসতেছি তা নয়, বরং কিয়ামতের দিন "রসূল বলবে- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জাতির লোকেরা এ কুরআনকে পরিত্যক্ত গণ্য করেছিল।"[42]
ড. কাজী আব্দুল মান্নান
[1] [(৭:২৩) সূরাঃ আল-আ'রাফ, আয়াত:২৩]
[2] [(১৭:১) সূরাঃ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল), আয়াত:১]
[3] [(২:১৩৬) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:১৩৬]
[4] [(৩:৮৪) সূরাঃ আলে-ইমরান, আয়াত:৮৪]
[5] [(২:৪) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:৪]
[6] [(৬:১১২) সূরাঃ আল-আন'আম, আয়াত:১১২]
[7] [(২:২০৮) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:২০৮]
[8] [(৫৯:১৬) সূরাঃ আল-হাশর, আয়াত:১৬]
[9] [(৫:৪৪) সূরাঃ আল-মায়েদা, আয়াত:৪৪]
[10] [(৬:১২১) সূরাঃ আল-আন'আম, আয়াত:১২১]
[11] [(৫: ৬২) সূরাঃ আল-মায়েদা, আয়াত:৬২]
[12] [(২০:১২০) সূরাঃ ত্ব-হা, আয়াত:১২০]
[13] [(৭:২২) সূরাঃ আল-আ'রাফ, আয়াত:২২]
[14] [(৬:১১২) সূরাঃ আল-আন'আম, আয়াত:১১২]
[15] [(৬:১১২) সূরাঃ আল-আন'আম, আয়াত:১১২]
[16] [(২:১৪) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:১৪]
[17] [(৩:৭) সূরাঃ আলে-ইমরান, আয়াত:৭]
[18] [(২:১৪) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:১৪]
[19] [(৭:২১) সূরাঃ আল-আ'রাফ, আয়াত:২১]
[20] [(১৯:৪৪) সূরাঃ মারইয়াম, আয়াত:৪৪]
[21] [(২:২০৮)) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:২০৮]
[22] [(৩৫:২২) সূরাঃ ফাতির, আয়াত:২২]
[23] [(১২:৫) সূরাঃ ইউসুফ, আয়াত:৫]
[24] [(৩৫:৬) সূরাঃ ফাতির, আয়াত:৬]
[25] [(১৪:২২) সূরাঃ ইবরাহীম, আয়াত:২২]
[26] [(৫০:২৭) সূরাঃ কাফ, আয়াত:২৭]
[27] [(১৯:৬৮) সূরাঃ মারইয়াম, আয়াত:৬৮]
[28] [(৪৩:৩৮) সূরাঃ আয-যুখরুফ, আয়াত:৩৮]
[29] [(৬:১১২) সূরাঃ আল-আন'আম, আয়াত:১১২]
[30] [(৩:৪৩) সূরাঃ আলে-ইমরান, আয়াত:৪২-৪৩]
[31] [(৬৬:১০) সূরাঃ আত-তাহরীম, আয়াত:১০]
[32] [(৬৬:১) সূরাঃ আত-তাহরীম, আয়াত:১]
[33] [(২:২৮২) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:২৮২]
[34] [(৪:৬) সূরাঃ আন-নিসা, আয়াত:৬]
[35] [(৪:১৫) সূরাঃ আন-নিসা, আয়াত:১৫]
[36] [(৫:১০৬) সূরাঃ আল-মায়েদা, আয়াত:১০৬]
[37] [(২৪:৪) সূরাঃ আন-নূর, আয়াত:৪]
[38] [(২৪:৬-৯) সূরাঃ আন-নূর, আয়াত:৬-৯]
[39] [(৬:১৫০) সূরাঃ আল-আন'আম, আয়াত:১৫০]
[40] [(১১:১৮) সূরাঃ হূদ, আয়াত:১৮]
[41] [(৪১:৩৬) সূরাঃ হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত), আয়াত:৩৬]
[42] [(২৫:৩০) সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত:৩০]
Files
মানুষের গোপন ও প্রকাশ্য দুশমন-Online Version.pdf
Files
(1.5 MB)
| Name | Size | Download all |
|---|---|---|
|
md5:d0aa2b3ada2c28c25067cb0aa7fb56a0
|
1.5 MB | Preview Download |