Published December 1, 2022 | Version pdf
Book Open

সালাত (নামায)-একমাত্র পবিত্র কোরআনের আলোকে Salat (Prayer) Only in the light of the Holy Qur'an

  • 1. Chairperson, Center for Academic & Professional Career Development and Research (CAPCDR)

Description

পটভূমি

আল্লাহ  আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা এবং উড্ডীয়মান বিহংগকূল সকলের জন্যই সালাত[1] (নামায, ইবাদত, তাসবীহ) মহান আল্লাহ  বাধ্যতামূলক করেছেন। ইবাদতের জন্য মানুষের জন্য একমাত্র সত্ত্বা মহান আল্লাহ এবং অনুসরণীয় বিধান হচ্ছে পবিত্র কোরআন[2]। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মুসলিম পরিবারে জন্ম সূত্রে আমরা যেভাবে উত্তরাধিকার স্থাবর ও অস্থাবর  সম্পত্তির মত ইসলামকে বাজারে বিদ্যমান নামায শিক্ষা ও তথাকথিত ধর্মগুরুর রীতিনীতি, প্রথা ও পদ্ধতিকেই মেনে নিয়ে সুবিধা ও অসুবিধা ভোগ করছি। সত্যিকার অর্থে তা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত, ন্যায়গত, ইসলাম সম্মত এবং আল্লাহর বিধান পবিত্র কোরআন অনুযায়ী কিনা তার পর্যালোচনা।  

মহান আল্লাহতালা আমাদের কোরআন অধ্যয়ন, চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার[3] এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগের কথা বলেছেন শতাধিক আয়াতে এবং আমরা যে সহজভাবে[4] বুঝতে পারি সে কথাও অনেকবার বলে দিয়েছেন। অথচ আমরা এই মহান লিখিত কিতাবের বিপক্ষে আজ ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ষাট হাজারের উপরে মানব রচিত গ্রন্থগুলিকে ইসলাম, ইবাদত, বেহেস্ত, দোজখ ভেবে এবং মেনে চলছি, যা প্রকৃত অর্থে এই একটি মাত্র মহান কিতাবের বিপক্ষে রচিত। আমরা যদি আমাদের মনের মধ্যে ইসলামের সবচেয়ে মৌলিক বিধান সালাত (নামায) যেভাবে গেথে আছে, তা এক মুহূর্তের জন্য মুছে দিয়ে, এই পবিত্র কোরআন কি বলেছেন?, কি বুঝিয়েছেন?, কি করতে বলেছেন? এবং কিভাবে করতে বলেছেন? একবার নিজের বিবেক, মেধা শক্তি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করি তা হলেই অনেক সমাধান হয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

প্রচলিত কথা, বিশ্বাস অনুশীলন:

কোরআনের কি ৮২ যায়গায় নামায?

গত পঞ্চাশ বছরে কতবার শুনেছে তা গুনে বলতে পারব না যে, আল্লাহ কোরআনের ৮২ জায়গায় নামাযের কথা বলেছেন। আসলেই কি এই ৮২-র  কোন অস্তিত আছে? আমি অন্তত পাই নাই, আমি যা পেয়েছি তা হচ্ছে সালাত (নামায) শব্দটি পবিত্র কোরআনে  সরাসরি ৮৯ টি আয়াতে ৯৬ বার, আর আলাদা আয়াতে তাহাজ্জুদ ১ বার, রূকু-সেজদা ১ বার, দন্ডায়মান ১ বার এবং  তাসবীহ ৩ বার অর্থাৎ মোট ১০২ বার এসেছে। ৮২-র তথ্যটি চিরস্থায়ী মুছে দিলাম আর ইনস্টল করব না।

নামাযের উৎস

জন্মগত ভাবে আমি সুন্নি হানাফী মাজহাবের মুসলিম ছিলাম, তাই নামাযের সকল বিধিবিধান এই মাজহাবেরই। সারা জীবন শুনলাম, পড়লাম, এবং নামায এসেছে একরাতে ঘোড়ায় চড়ে। কিন্তু পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সূরার একটি আয়াতের একটি শব্দের সাথেও  এই কথা শুনা, পড়া  এবং লিখার সাথে মিল অন্তত আমি খুঁজে পাই নাই। আমি যা পেয়েছি এই মহান গ্রন্থে আমাদের মুসলিম[5] নাম এসেছে আদি পিতা ও সকল মুসলিমের ইমাম  ইব্রাহিম (আঃ), হজ্জ্ব ও নামায তার মাধ্যমেই এসেছে এবং তার শিখানো নামাযকেই এই লিখিত শেষ কিতাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পিতা ইব্রাহিম (আঃ) এর পরবর্তী সকলে মানুষ তার উম্মত তারই সত্যায়নকারী নবী ও রাসূল । কোন নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য করা যাবে না, এবং আল্লাহর বিধানের কখনই কোন পরিবর্তন পাবে না[6] ।   তাই আমি নামাযের ক্ষেত্রে এই প্রচলিত তথ্যটি চিরস্থায়ী মুছে দিলাম আর ইনস্টল করব না।

নামায শিক্ষা

আমাকে নামায শিক্ষা দিয়েছে বিভিন্ন লেখকের বই, মাজহাব, মতবাদ, বিশ্বাস ও ব্যবহার থেকে। আমি যদি জীবনে এই পবিত্র কোরআন  পড়ে না দেখি, তার দায় কেবল মাত্র আমার, সেখানে আমার পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানী, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজ ও রাষ্ট্র কেউ দায়ী নয়। তাই  তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে  দায় চাপানো, একটি ভ্রান্ত মতবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। এই পবিত্র কোরআন লিখিত ভাবে মানুষের নামাযকে যেভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন, তাতে উপরে উল্লেখিত আয়াতের মাধ্যমে আমি পেয়েছি সর্বমোট ৯5টি চলক (variable), যেহেতু কোরআন অপরিবর্তনশীল আর গবেষণার ফলাফল সর্বদা পরিবর্তনশীল, তাই আপনার গবেষণায় কিছু কম বেশি হতেই পারে। অর্থাৎ আমার গবেষণায় নামায হচ্ছে ৯5টি চলকের সমষ্টি যাকে আমরা ইচ্ছে করলে (১) আল্লাহ, রাসূল ও কিতাব সম্পর্কে, (২) মসজিদ ও নেতার ভূমিকা, (৩) শারীরিক নামায পড়ার বিধান, (৪) আর্থ-সামাজিক বিধান, (৫) বিশেষ বিধান ও (৬) জাহান্নামীর নামায এই ভাবে ভাগ করে নিতে পারি। এই চলক গুলিই হচ্ছে ইব্রাহিম (আঃ) এর নামায, যার সত্যায়নকারী আমাদের সকল নবী ও রাসূল । পবিত্র কোরআনের বাহির থেকে কেউ কোন চলক সংযুক্ত করার ক্ষমতা নেই।   

তারা কেন বলে শুধু কোরআন অনুসরণ করে নামায পড়া যাবে না?

পিতা ও ইমাম ইব্রাহিম (আঃ) এর নামায সকল উম্মত, নবী ও রাসূল পড়ে গেলেন, আমাদের জন্য সত্যায়ন করে দিলেন নবী (সঃ)। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে একমাত্র পবিত্র কোরআনকে পরিপূর্ণ করেছেন এবং জীবন চলার ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা ও অনুসন্ধান করতে বলেছেন। সেখানে নামাযের মত সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ বিধানের ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্য নিতে হবে, এক কথা ৩৫ বছর পূর্বেই বিশ্বাস হয় নি বলেই এই গবেষণা। যারা বলে শুধু কোরআন অনুসরণ করে  নামায পড়া যাবে না, তাদের কথা স্বয়ং আল্লাহ বলে দিয়েছেন 'সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস।‘[7] যেহেতু তারা কোরআনে নতুন করে কিছু রচনা করার ক্ষমতা রাখে না, তাই নবী (সঃ) এর নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া রচনা করে চলছে এবং চলবে, কারণ তারা মহান আল্লাহর রাজত্বে স্বাধীন এবং আল্লাহই এই স্বাধীনতা দিয়েছেন। প্রকৃত অর্থে কোন নবী ও রাসূল কখনও কোন ইবাদতের বিধান দেন নাই, দিতে পারেন না এবং ইবাদতের বিধান দাতা আর ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্যই[8]

তারা বলে কোরআনে নামাযের রাকাত নেই !

শারীরিক সালাতের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ যে সময়গুলির কথা উল্লেখ করেছেন, তার কোথাও প্রচলিত নামাজের রাকাত নির্ধারণ করে দেন নাই অর্থাৎ এই ধরণের কোন বাধাবাধকতামূলক রাকাত নেই। মহান আল্লাহ তা করতেই পারেন না, কারণ তিনি শারীরিক সালাত একটি সার্বজনীন ইবাদত করেছেন। শারীরিক এই ইবাদত একক ও যৌথ উভয় ভাবেই সম্পাদন করার নির্দেশ করা হয়েছে। আল্লাহ যেমন প্ৰত্যেকটি কাজে কর্মে মানুষের স্বাধীনতা দিয়েছেন, তেমনি শারীরিক সালাতের ক্ষেত্রেও এই স্বাধীনতা বহাল রেখেছেন। ব্যক্তি সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কি চাইবে, কি বলবে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তেমনি একটি সমাজ বা গোষ্ঠীর চাহিদা যখন একরকম হয়ে যায়, তখন তারা নির্ধারণ করে নিবে, যে তারা আল্লাহর দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুনিদৃষ্ট করে নিবে কখন, কিভাবে, এমনকি কি চাইবে মহান আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ভাল ভাবেই অবগত আছেন এই প্রযুক্তিগত আধুনিকতার যুগেও একক এক ব্যক্তি তার জীবিকার প্রয়োজনে দূর মরুভুমিতে একাই বসবাস করবে, অথবা গভীর জঙ্গলে মধু আহরণ করবে অথবা ডিঙ্গি নৌকায় মাছ ধরবে উত্তাল মাঝ নদীতে। এখানে উল্লেখিত তিন ব্যক্তি, তিন ধরণের পরিবেশে রয়েছে এবং প্রত্যেকের জন্য আল্লাহর দেয়া সময়ে সালাত করতে হবে। তারা নিজ নিজ সুবিধামত পন্থায় সালাত করবে এটাই হচ্ছে সালাতের মূলনীতি। সালাতে বসা, দাঁড়ানো, রাকাত, রুকু, সেজদা, দোয়া-দুরূদ ইত্যাদি ভিন্নতর হবে এটাই স্বাভাবিক।

নিশ্চিত মহান আল্লাহ জানতেন জীবিকার প্রয়োজনেই মানুষকে সাগর মহাসাগরের পানিতে ভাসমান, পানির নিচে, এমনকি আকাশেও উল্লেখিত সালাতের সময়ের মধ্যে-ই অবস্থান করতে হবে এবং সালাত পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সূর্য উদয়ের পূর্বে যখন এই এলাকায় হঠাৎ কোন মহাপ্রলয় দেখা দিবে ঠিক তখনও সালাত মাফ নেই, তাদের সালাত করতে হবে। সেই সময় তারা সম্মিলিত সালাত করবে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে-ই। মহান আল্লাহ তাই-ই চান এবং তার নির্ধারিত পন্থায়, যা প্রচলিত পদ্ধতিতে কখনও সম্ভব নয়। তাই সালাতকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে আল্লাহর বিধান থেকেই অনুধাবন করতে হবে,  আমি কেন সৌদি প্রেস, মিশর প্রেস, রাশিয়ান প্রেস, ইরাক-ইরান প্রেস, উজবেকিস্তান প্রেস, আফগানিস্তান প্রেস, পাকিস্তান প্রেস, বাংলাদেশ প্রেস এর পৃষ্ঠা খুঁজব, সালাতের রাকাত কত তা জানার জন্য?

নামাযের সময় !

মহান আল্লাহ নামাযের জন্য মাকামে (পদাঙ্ক) ইব্রাহিমকে অনুসরণ করতে বলে দিলেও আমার নামাযের সময়গুলি বলে দিয়েছেন স্পষ্টভাবেই। যেহেতু মহান আল্লাহ জানেন, তার রাজত্বে মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য নানা পেশায় এবং  নানা ভৌগলিক অবস্থানে থাকতে হবে, তাই নিজ নিজ অবস্থানে আল্লাহর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নামাযের জন্য সূনির্দিষ্ট করে নিতে বলেছেন। এমনকি বিশেষ ক্ষেত্রে চলতে চলতে, যানবাহনে বসে বসে, প্রয়োজনে শুয়ে শুয়ে[9]ও করে নিতে বলেছেন। সেই ক্ষেত্রে নামাযের সাথে উল্লেখিত ৯5টি চলকের মধ্যে বাকি ৯৪টি চলকের ক্ষেত্রে সঠিক থাকলে সময়ের ক্ষেত্রে কিছু ভুলত্রুটি থাকলে, মহান আল্লাহর কাছেই রেখে দেই, তার মহানুভবতা ও ক্ষমার জন্য। তার জন্য আবার সৌদি প্রেস, মিশর প্রেস, রাশিয়ান প্রেস, ইরাক-ইরান প্রেস, আফগানিস্তান প্রেস, পাকিস্তান প্রেস, বাংলাদেশ প্রেস এর পৃষ্ঠা খুঁজতে যেতে হবে কেন? আমি মনে করি এমন দৃষ্টতা সরাসরি পবিত্র কোরআনকে চ্যালেঞ্জ করে নবী (সঃ) নামে অপপ্রচার।

নামাযের আহবান !

নামায এবং তার আহবান সেই আদি পিতা ও ইমাম ইব্রাহিম (আঃ) থেকেই প্রচলিত রয়েছে এবং সকল উম্মত, নবী ও রাসূলগণ পালন করে আসছেন। এতদসত্ত্বেও স্বয়ং আল্লাহপাক আমাদের বলে দিলেন  "আর যখন তোমরা সালাতের (আযান দ্বারা) আহবান কর তখন তারা ওর সাথে উপহাস করে; এর কারণ এই যে, তারা এরূপ লোক যারা মোটেই জ্ঞান রাখেনা।"[10] কেউ যদি কোন উপহাস করে, তাতে আমার কিছু বলার নেই, কারণ এমন হবে, নিষেধাজ্ঞাও থাকবে আল্লাহর রাজত্বের কোথাও না কোথাও। সম্পূর্ণ কোরআন অধ্যায়ন করলেই আমরা বুঝতে পারব। কোন সমস্যা নেই, আল্লাহ আমাদের নামাযের সময় বলে দিয়েছেন, প্রয়োজনে নিজ ঘরে-ই[11] নামায কায়েম করে নিতে বলেছেন, দরকার হলে নিজ ঈমান গোপন[12] করে।  তাই প্রকৃত নামাযীর জন্য নামাযের আহবান নিয়ে ইব্রাহিম (আঃ) এর মুসলিম মিল্লাতের নামের বিভক্তি সৃষ্টির কোন অবকাশ নাই।

নামাযের দন্ডায়মান ও রুকূ-সিজদা!

পবিত্র কোরআন নামাজে দন্ডায়মান ও রুকূ-সিজদা তথা সমগ্র নামাযের মধ্যে বিনয়াবনত[13], যত্নবান এই সকল শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন। মহান আল্লাহ মানুষের নানা ভাষা ও  বর্ণ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি বলেছেন তার সৃষ্টির মধ্যে ভাষা ও বর্ণের মধ্যে রয়েছে আমাদের জন্য অনেক গবেষণা ও অনুসন্ধান যেন আমরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারি। বিনয়াবনত, ভদ্রতা, নম্রতা, ইত্যাদি বিষয়গুলির স্থান কাল পাত্র ভেদে ভিন্নতা থাকতেই পারে। যেহেতু আল্লাহ কোন একটি রীতি-রেয়াজকে সূনির্দিষ্ট করে দেন নাই, শুধুমাত্র বিনয়াবনত, ভদ্রতা, নম্রতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন। তাই, আমাদের সেখানেই থাকা-ই উত্তম, যদি আমরা নামাযীর ৯৫টি চলকের কথা জানি এবং মেনে চলি। বিতর্ক, মারামারি, হাতাহাতি, বিবেদ ছেড়ে, কার হাত তার কোথায় আছে, যদি না তার হাত আমাকে বিনম্রভাবে দন্ডায়মান ও রুকূ-সিজদাতে বাঁধা প্রদান না। আর যদি বাঁধা আসে, শুধুমাত্র পবিত্র কোরআনের নির্দেশিত বিধান মেনে চলি। যদিও নামাযের দন্ডায়মান ও রুকূ-সিজদা কেবলা মুখী[14], যা নিয়ে কোন বিতর্ক দেখা যায় না, আর বিতর্ক করার কিছুই নেই।

মানসিক অবস্থা, শারীরিক পবিত্রতা  ও সাজসজ্জা !

নামাজে দন্ডায়মান হওয়ার পূর্বে মাত্র তিনটি বিষয়ের কথা আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। প্রথমত মানসিক ভারসাম্যহীন অর্থাৎ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামায পড়া যাবে না। সুন্দরভাবে নেশাগ্রস্থের সংজ্ঞাও দিয়ে দিয়েছেন যেমন "যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পার যা তোমরা বল"[15]। দ্বিতীয়ত শারীরিক পবিত্রতা সম্পর্কে দুনিয়ার সকল মানুষ সম্পর্কে পরিষ্কার বিধান দিয়ে দিয়েছেন, পবিত্র কোরআনের যথাক্রমে এই দুটি আয়াতে  (৪:৪৩) ও (৫:৬) । এই দুই আয়াতের পর আর কোন প্রেস খুঁজতে হবে বলে অন্তত আমি মনে করি না। "প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ কর"[16], এখানে মানুষ যেহেতু নানা বর্ণের, দৈহিক গঠন প্রণালীতে রয়েছে বৈচিত্রতা, লিঙ্গভেদ, ভৌগলিক ও জলবায়ুর বৈষম্যতা ইত্যাদি অনেকগুলি চলক রয়েছে ব্যক্তি ও সমাজে  মহান আল্লাহ মানুষের বিবেক বুদ্ধির কাছেই স্বাধীনতা দিয়েছেন। কোন রং, গজ, ফুট, দর্জি, ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেন নাই। আমরা ৯৫টি চলকের গুরুত্ত্ব না দিয়ে, কেন যাব মাল্টিন্যাশনাল প্রেসের কাছে? এমনকি নামায ছাড়াও মানুষের পোশাকের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ আমাদের যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানেও ঐ ধরণের কোন বিধান দেন নাই।

নামাজে কি এবং কিভাবে পড়তে হবে? 

এই যায়গায় এসে সৃষ্টি করা হয়েছে যত বিভ্রান্তি। শয়তানতো এটাই চায়। আল্লাহ কি বলেছেন, যা একটু আগেই লিখেছি  "যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পার যা তোমরা বল"[17]। প্রশ্নঃ আমি যা বলছি তা কি আমি বুঝতে পারি? যদি না পারি তা হলে (৪:৪৩) এখানে বলে দিয়েছে আমি নামাযের অযোগ্য। মহান আল্লাহ আমাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন “তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর।“[18] আবার দেখুন আল্লাহ কি বলেছেন  "অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়।"[19] অথচ আমরা কি পড়ছি না, ইমরাহীম (আঃ) মুসলিম মিল্লাতের মুসলিম হয়ে ঘোড়ায় চড়ে নিয়ে আসা নামায, দোয়া ও দূরদ? আল্লাহ তার লানত কিভাবে দিয়েছে  "সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে।"[20] বিভিন্ন প্রেস থেকে বিভিন্ন নামে ও বেনামে নিয়ত, দোয়া, দুরূদ প্রিন্ট করে নামায শিক্ষা তথা প্রত্যেক নামাযের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রশ্নঃ প্রচলিত আত্তাহিয়াতু (ঘোড়ায় চড়ে এসেছে), নিয়ত, দোয়া কুনুত, দোয়া মাছুরা ও দুরূদ কি কোরানে আছে? আমার কাছে উত্তর এগুলো আল্লাহর কিতাবে নাই। অতএব পিতা ও ইমাম ইব্রাহিম (আঃ) কোন উম্মত, নবী ও রাসূল কোরআনের আয়াত ব্যতীত মানব রচিত কোন কিছু পড়তেই পারেন না। যত ভাল কথা মনে হউক, কোরআন ব্যতীত কোন লেখকের লিখা পড়া যাবে না। এর বাইরে আল্লাহর কোন বিধান নেই।  আল্লাহ আদম (আঃ) থেকে সত্যায়নকারী নবী (সাঃ) পর্যন্ত আমাদের  চাহিদামত যাবতীয় দোয়া, দুরূদ, হাম্দ ও  নাত মহান আল্লাহ লিখে দিয়েছেন। আর এগুলি হচ্ছে নির্ধারিত (prescribed) গঠন (form), মহান আল্লাহর কাছে আবেদনের শিখিয়ে দেয়া এই ফর্ম ছাড়া ভিন্ন কারো ফর্ম গ্রহণযোগ্য নয় বরং তা হবে আল্লাহর বিধানে অংশীদারিত্ব সৃষ্টি। এই ফর্মের বাইরে আমাদের মনে কোন ভিন্ন আবেদন থাকলে, মহান আল্লাহ তাও খুব ভাল করে জানেন।   

আল্লাহর কাছে সাহায্য ও সহযোগিতার পথ হচ্ছে সালাত  "আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন।"[21] আল্লাহ কিন্তু বলেছেন  "আমি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে"[22]। যখন জামাতে ইমাম সাহেব আমাকে শুনিয়ে কোরআন পড়েন তখন আল্লাহ কি বলেছেন "আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর।"[23] অথচ আমাদের বর্তমান নামায শিক্ষার শিক্ষকগণ সূরা ফাতিহা ইমামের পিছনে মনে মনে পড়া যাবে কি না, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে রাত পার করে দিচ্ছে অন্যের গীবত করে। আর যখন আমি আমার নামায একাকী পড়ব তখন আল্লাহর নির্দেশ "তুমি তোমার সালাতে স্বর উঁচু করো না এবং তাতে মৃদুও করো না; বরং এর মাঝামাঝি পথ অবলম্বন কর।"[24]

আশা করি সালাতের জন্য এই সংকলনে যে সকল আয়াতগুলি তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়লে, যে কোন  বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বুঝতে একটুও কষ্ট হবে না যে, সত্যিকার অর্থে নামায কি? কি ভাবে শুরু করতে হবে? কি করতে হবে? কি পড়তে হবে? কিভাবে শেষ করতে হবে? আসলে আমরা নামায পড়ি কিন্ত আল্লাহ আজকের আমাদের অবস্থা দেখে নিজেই বলে দিয়েছেন "তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তবে (ইবাদাতে) শিরক করা অবস্থায়।"[25]

সালাত (নামায) এর চলক সমূহ (Variables)

সালাত (নামায) সম্পর্কে সরাসরি যে ৮৯টি আয়াত রয়েছে তা বিশ্লেষণ করলে ৯৫টি চলক দেখা যায়। আল্লাহ তার মহানুভবতার কারণে তিনি আমাদের সুন্দর ভাষা ব্যবহার করেছেন। আমি আমার নিজের মত করে সাঁজিয়েছি, আপনি নিজে অধ্যায়ন করেন, তা হলে হয়ত এর চেয়ে আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারবেন। আমরা যদি এই চলকগুলির সাথে সম্পৃক্ত পবিত্র কোরআনের অন্যান্য আয়াত পর্যালোচনা করি তা হলে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রীয় ও আন্তজার্তিক জীবন ব্যবস্থা চলে আসবে। আমি এখানে এই ৬টি ভাগে করেছি যেমন  (১) আল্লাহ, রাসূল ও কিতাব সম্পর্কে, (২) মসজিদ ও নেতার ভূমিকা, (৩) শারীরিক নামায পড়ার বিধান, (৪) আর্থ-সামাজিক বিধান, (৫) বিশেষ বিধান ও (৬) জাহান্নামীর নামায। এখানে এই ৬টি ভাগে ভাগ করলে দেখা যায় যে, শারীরিক নামায পড়ার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র 19টি চলক, যার কোন ভুল ত্রুটি সম্পূর্ণ আল্লাহর এখতিয়ার।  অথচ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ৩৩টি, এখানেই রয়েছে গোটা সমাজ ব্যবস্থা।  আমি যদি ১টি চলক যাকাত সম্পর্কে জানতে চাই, তাহলে দেখব ৩২টি আয়াত রয়েছে এই সম্পর্কে। অর্থাৎ এই ভাবেই আমরা পেয়ে যাব আমাদের জীবন ব্যবস্থা। আমরা বিভিন্ন প্রেস থেকে প্রচারিত যে তথ্য বিশ্বাস করে পরপারে চলে যাচ্ছি সেখানে "রসূল বলবে- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জাতির লোকেরা এ কুরআনকে পরিত্যক্ত গণ্য করেছিল।"[26]

সালাত (নামায) এর চলক সমূহ (Variables)

আল্লাহ, রাসূল ও কিতাব সম্পর্কে

মসজিদ ও নেতা

শারীরিক নামায পড়ার বিধান

আর্থ-সামাজিক বিধান

বিশেষ বিধান

জাহান্নামীর নামায

(23) টি

(6) টি

(18) টি

(34) টি

(5) টি

(8) টি

গায়েবের প্রতি ঈমান (২:৩)

মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য (৭২:১৮)

সূনির্দিষ্ট সময়ে (৪:১০৩)

বেচা-কেনা বর্জন (৬২:৯)

ঈমান গোপন (১৬:১০৬)

কুফরী গোপন (১৬:১০৬)

আল্লাহতে ঈমান (২:১৭৭)

আল্লাহর মাসজিদগুলি সংরক্ষণ (৯:১৮)

দাঁড়িয়ে (৪:১০৩)

রিয্ক থেকে ব্যয়

(৩৫:২৯)

তায়াম্মুম (৪:৪৩)

কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ (১৯:৫৯)

শেষ দিবস ঈমান (২:১৭৭)

সালাতের আহবান (৫:৫৮)

বসে (৪:১০৩)

যাকাত প্রদান (২৪:৩৭)

কসর (৪:১০১)

ইয়াতীমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয় (১০৭:২)

ফেরেশতাগণ ঈমান (২:১৭৭)

বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নির্মিত মসজিদে নামায পড়া নিষেধ (৯:১০৭)

নেশামুক্ত (৪:৪৩)

সদাচার পিতা-মাতা (২:৮৩)

শুয়ে (৪:১০৩)

মিসকীনকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেয় না (১০৭:৩)

কিতাবসমূহ ঈমান (২:১৭৭)

নেতা নামায প্রতিষ্ঠা করবে (২১:৭৩)

শারীরিক পবিত্র (৪:৪৩)

সদাচার আত্মীয়-স্বজন (২:৮৩)

পদব্রজে বা যানবাহনের উপর সালাত (২:২৩৯)

সালাতে অমনোযোগী (১০৭:৫)

নাবীগণের প্রতি ঈমান (২:১৭৭)

বন্দিমুক্তি (২:১৭৭)

গোসল (৪:৪৩)

সদাচার ইয়াতীম সাথে (২:৮৩)

 

লোক দেখানোর জন্য তা করে (১০৭:৬)

পূর্বে-বর্তমান কিতাবে ঈমান

(৪:১৬২)

 

ওযু (বাধ্যতামূলক) (৪:৪৩)

সদাচার মিসকীনদের সাথে (২:৮৩)

গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোট খাট সাহায্য দানে বিরত থাকে (১০৭:৭)

ভয় একমাত্র আল্লাহকে

(৯:১৮)

সাজসজ্জা (৭:৩১)

মানুষকে উত্তম কথা বলা (২:৮৩)

অলসভাবে দাঁড়ায় (৪:১৪২)  

অন্তরে আল্লাহর ভয়

(২২:৩৫)

কিবলাহমুখী(২:১৪৪)

সৎ কর্ম (২:১১০)

রাববকে না দেখে ভয় (৩৫:১৮)

 

রুকূকারীদের সাথে রুকূ (২:৪৩)

ধৈর্য (২:১৫৩)

আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধ চিত্ত (৯৮:৫)

সালাতে স্বর মধ্যম (১৭:১১০)

আত্মীয়-স্বজন দান (২:১৭৭)

একমাত্র রবের উদ্দেশ্যেই (১০৮:২)

কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়া (৭৩:২০)

ইয়াতীম-মিসকীন দান (২:১৭৭)

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য (৯:৭১)

কোরআন পাঠে মনোযোগের সাথে তা শ্রবণ (৭:২০৪)

পথিক দান (২:১৭৭)

আল্লাহর কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ (৭:১৭০)

মহিলারা রূকু ও সেজদাকারিগনে সাথে (৩:৪৩)

ভিক্ষুকদেরকে দান (২:১৭৭)

তাকওয়া অবলম্বন (৬:৭২)

বিনম্রতা (৫:৫৫)

দাসমুক্তি (২:১৭৭)

ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর (২:৮৩)

সালাতে যত্নবান (২৩:৯)

অঙ্গীকার পালন (২:১৭৭)

আল্লাহকে উত্তম ঋণ (৭৩:২০)

তাসবীহ পাঠ (৫০:৪০)

হস্তসমূহ সংযত (৪:৭৭)

রাসূলদের সহযোগিতা (৫:১২)

আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ (৬২:১০)

জিহাদ (২:১৭৭)

তাওবা (৯:৫)

রবের নাম স্মরণ(৮৭:১৫)

 

ভাল কাজের আদেশ (২২:৪১)

পিতা ইবরাহীমের দীন (২২:৭৮)

অন্যায় কাজের নিষেধ (২২:৪১)

মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ (২:১২৫)

গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় (৩৫:২৯)

ইবরাহীমের সুদৃঢ় ধর্মের অনুসরণ (৬:১৬১)

অন্যায়কে ন্যায় দ্বারা প্রতিরোধ (১৩:২২)

প্রথাগত পদ্ধতি পরিহার (১১:৮৭)

 

মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া (৩০:৩১)

স্বগৃহে অবস্থান (৩৩:৩৩)

প্রাচীন জাহেলী যুগের সাজসজ্জা না করা (৩৩:৩৩)

নিজেকে পরিশোধন

আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন (৩৫:২৯)

 

রবের আহবানে সাড়া (২:১৮৬)

পারস্পরিক পরামর্শ (৪২:৩৮)

সদাক্বাহ (৫৮:১৩)

যমীনে ছড়িয়ে যাওয়া (৬২:১০)

আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান (৬২:১০)

অপচয় (৭:৩১)

 

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান এবং পবিত্র কোরআন বুঝতে সহায়তা করুন।

আমিন

ড. কাজী আব্দুল মান্নান

 

[1] [(২৪:৪১) সূরাঃ আন-নূর, আয়াত: ৪১]

[2] [(২০:১৪) সূরাঃ ত্ব-হা, আয়াত: ১৪]

[3] [(৩১:২৯) সূরাঃ লুকমান, আয়াত: ২৯]

[4] [(৫৪:৪০) সূরাঃ আল-কামার, আয়াত: ৪০]

[5] [(২২:৭৮) সূরাঃ আল-হজ্জ, আয়াত: ৭৮]

[6] [(৩৫:৪৩) সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত:৪৩]

[7]  [(২:৭৯) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত: ৭৯]

[8] [(২:৮৩) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত: ৮৩]

[9] [(২:২৩৯) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:২৩৯]

[10] [(৫:৫৮) সূরাঃ আল-মায়েদা, আয়াত: ৫৮]

[11] [(১০:৮৭) সূরাঃ ইউনুস, আয়াত: ৮৭]

[12] [(১৬:১০৬) সূরাঃ আন-নাহাল, আয়াত: ১০৬]

[13] [(২:২৩৮) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:২৩৮]

[14] [(২:১৪৪) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত:১৪৪]

[15] [(৪:৪৩) সূরাঃ আন-নিসা, আয়াত:৪৩]

[16] [(৭:৩১) সূরাঃ আল-আ'রাফ, আয়াত:৩১]

[17] [(৪:৪৩) সূরাঃ আন-নিসা, আয়াত:৪৩]

[18] [(২৯:৪৫) সূরাঃ আল-আনকাবূত, আয়াত:৪৫]

[19] [(৭৩:২০) সূরাঃ আল-মুযযাম্মিল, আয়াত:২০]

[20]  [(২:৭৯) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত: ৭৯]

[21] [(২:৪৫) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত: ৪৫]

[22] [(২:১৮৬) সূরাঃ আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৬]

[23] [(৭:২০৪) সূরাঃ আল-আ'রাফ, আয়াত: ২০৪]

[24] [(১৭:১১০) সূরাঃ আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল), আয়াত: ১১০]

[25] [(১২:১০৬) সূরাঃ ইউসুফ, আয়াত:১০৬]

[26] [(২৫:৩০) সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত:৩০]

Files

সালাত (নামায)-একমাত্র পবিত্র কোরআনের আলোকে Salat (Prayer) Only in the light of the Holy Qur'an.pdf